স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা : ‘ভারত প্রতিবছর ৩৮ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করছে। বাংলাদেশ সেখানে কয়েক বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ভারতে রপ্তানি হয় অর্ধ বিলিয়ন ডলারেরও কম।
ভারতে রপ্তানি বাড়াতে চাইলে দু’দেশের সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। রপ্তানিখাতে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।
ভারতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে তারা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে চায়। এ খাতে বাংলাদশের সঙ্গে যৌথ বা সরাসরি বিনিয়োগে তারা আগ্রহী।’
শনিবার সন্ধ্যায় তিন দিনব্যাপী ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যমেলার সমাপনী উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সফররত কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি-সিআইআই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এসব অভিমত জানান।
২২ সদস্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন টাটা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের উপদেষ্টা শ্যামল গুপ্ত। তিনি প্রতিনিধি দলের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য মেলার অন্যতম সহযোগী দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। এ মেলায় বসুন্ধরা গ্রুপসহ দুই দেশের ৪০টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করে।
শ্যামল গুপ্ত বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা অনেক। ভারতের ব্যবসায়ীরা দুই বিলিয়ন ডলার (দুইশ কোটি ডলার) বিনিয়োগ করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, ভারতের পূর্বাঞ্চলে চাহিদার তুলনায় বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। বাংলাদেশ চাইলে সেখান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক প্রতিষ্ঠান ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডস্ট্রিজের সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমদ বলেন, ভারতের ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বিশেষ এলাকা গড়ে দেওয়ার। এবার সে ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সম্মতিতে সুনামগঞ্জের ছাতকে বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা (এসইজে) গড়ে তোলা হবে বেসরকারিভাবে।
তিনি বলেন, যত শিগগির সম্ভব প্রায় ১০০ একর জমির ওপর এই এলাকা গড়ে তোলার কাজ শুরু হবে। যেখানে ভারতের প্রায় ৫০টি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান শিল্প গড়ে তুলবে।
আব্দুল মাতলুব এসময় দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার সুপারিশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের প্রথম সচিব বি সায়েম, এইচএসবিসি ব্যাংকের বিপণন ও যোগাযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক সামী হাফিজ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলন শেষে মেলার দর্শনার্থীদের জন্য র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। র্যাফেল ড্র’র পুরস্কার হিসেবে তিনজন দর্শণার্থী পরিবেশ বান্ধব যান হিসেবে তিনটি বাইসাইকেল লাভ করেন।
পুরস্কার প্রাপ্তরা হচ্ছেন মো. তৌহিদ, ঢাকা (কুপন-৭৪৮৩), মাহমুদ, নারায়ণগঞ্জ (কুপন-৯৬৫০), এবং আব্দুল মতিন, ঢাকা (কুপন-৮৬০৩)। বিজয়ীদের পুরস্কার গ্রহণ করতে আয়োজকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment